মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় বাউফল হাইস্কুল কেন্দ্রের বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেন্যুতে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেছে।লাঞ্ছিত করা হয়েছে এক কক্ষ পরিদর্শককে। এ সময় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট।শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) গণিত পরীক্ষার শেষে এ ঘটনা ঘটেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণিত পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিয়ে ওই ভেন্যুর ১ নম্বর কক্ষের কক্ষ পরিদর্শকদের সাথে পরীক্ষার্থীদের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা শেষে লিখিত পরীক্ষা শুরু সময় ওই কক্ষের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সায়েন্টিফিক ক্যালকুটার নিয়ে যান।এ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একটু অসন্তোষের সৃষ্টি হলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক বাউফলের ইউএনও পিযুষ কান্তিকে অবহিত করা হয়।
ইউএনও এর নির্দেশে সবোর্চ্চ ১০ মিনিটের মধ্যে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় ক্যালকুলেটর ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ওই কক্ষ পরিদর্শক খাতা নিয়ে প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগমের কক্ষে যাওয়ার সময় কয়েক পরীক্ষার্থী তার সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক এসে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
হৈচৈ শুনে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও বাউফল উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মাহাবুবা বেগম এগিয়ে এলে তার সাথেও খারাপ আচরণ করা হয়। তখন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগমের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের দরাজায় লাথি মারে এবং ভিতরে জ্যামিতিবক্স ছুড়ে মারেন।
তখন ভিতর থেকে দরজা আটকে দেওয়া হলে পরীক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের পিছনের জানালা ভাঙচুর করেন।এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিযুষ চন্দ্র দে, বাউফল সার্কেলের এএসপি মো. ফারুক হোসেন ও ওসি (তদন্ত) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও পিযুষ চন্দ্র দে জানান, গণিত পরীক্ষায় সাইনটেফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিয়ে ভ্যানুর ১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীদের সাথে কক্ষ পরিদর্শকের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহারা বেগম বাউফল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
Leave a Reply